বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন সড়ক। দেশটিতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। দক্ষিণ আফ্রিকা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অভিবাসী শ্রমিক পরিবহনে ব্যবহৃত দূরপাল্লার বাসগুলো প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এবার সেই দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে যে ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৮ জন নারী, ১৭ জন পুরুষ এবং সাতজন শিশু রয়েছে। খবর আল-জাজিরার। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় লিম্পোপো প্রদেশের মাখাদো শহরের কাছে এন১ মহাসড়কে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার সময় বাসটি দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশ থেকে জিম্বাবুয়ে ও মালাউইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, চালকের ক্লান্তি বা যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এসএবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৮ জন নারী, ১৭ জন পুরুষ এবং সাতজন শিশু রয়েছে। লিম্পোপো প্রদেশের পরিবহন কর্মকর্তা ভায়োলেট মাথে জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ১০ মাস বয়সী এক শিশুও রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে সংযুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ এন১ মহাসড়কটি সোমবার সকাল পর্যন্ত উভয় দিকেই বন্ধ রাখা হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য। রাতভর উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালান। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে। সেগুলোতে ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনো কেউ কেউ উল্টে যাওয়া বাসের ভেতরে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।লিম্পোপো প্রদেশের প্রিমিয়ার ফোফি রামাথুবা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, ‘একটি ঘটনায় এত মানুষের প্রাণহানির বেদনা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।